কৃষ্ণ পক্ষ ও শুক্ল পক্ষ হল চন্দ্র মাসের দুইটি ভাগ।চাঁদের অবস্থান এবং আলো প্রতিফলনের উপর ভিত্তি করে এগুলি নির্ধারিত হয়।<b> কৃষ্ণ পক্ষ:</b> এটি চন্দ্র মাসের সেই সময়কাল (১৫ দিন) যা পূর্ণিমার পর থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময় চাঁদের আলো ক্রমশ কমতে থাকে এবং অমাবস্যায় সম্পূর্ণ অন্ধকার হয়।<b> শুক্ল পক্ষ:</b> এটি চন্দ্র মাসের সেই সময়কাল (১৫ দিন) যা অমাবস্যার পর থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময় চাঁদের আলো ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পূর্ণিমায় চাঁদ সম্পূর্ণ গোল এবং আলোকিত হয়। এই দুটি পক্ষ মিলেই একটি চন্দ্র মাস গঠিত হয়। দিন কৃষ্ণ পক্ষ শুক্ল পক্ষ ১ প্রথমা প্রথমা ২ দ্বিতীয়া দ্বিতীয়া ৩ তৃতীয়া তৃতীয়া ৪ চতুর্থী চতুর্থী ৫ পঞ্চমী পঞ্চমী ৬ ষষ্ঠী ষষ্ঠী ৭ সপ্তমী সপ্তমী ৮ অষ্টমী অষ্টমী ৯ নবমী নবমী ১০ দশমী দশমী ১১ একাদশী একাদশী ১২ দ্বাদশী দ্বাদশী ১৩ ত্রয়োদশী ত্রয়োদশী ১৪ চতুর্দশী চতুর্দশী ১৫ অমাবস্যা পূর্ণিমা<b> অমাবস্যা</b> হল চন্দ্র মাসের সেই দিন যখন চাঁদ সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করে এবং চাঁদের কোনো অংশে সূর্যের আলো পড়ে না। ফলে এই দিন চাঁদকে আকাশে দেখা যায় না। এটি সাধারণত কৃষ্ণ পক্ষের শেষ দিন (পঞ্চদশতম) হয় এবং এর পরেই শুক্ল…
ভারতের বৃহত্তম পেট্রো রসায়ন শিল্প কেন্দ্রটি গুজরাটের জামনগরে অবস্থিত। এই কমপ্লেক্সটি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (RIL) দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এটি বিশ্বের বৃহত্তম পরিশোধন ও পেট্রো রসায়ন কমপ্লেক্সগুলির মধ্যে একটি হিসেবে পরিচিত। জামনগরের এই কমপ্লেক্সটি ভারতের শিল্প খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এবং দেশের জ্বালানি খাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। জামনগর পেট্রো রসায়ন কমপ্লেক্সের মূল বৈশিষ্ট্য 1. পরিসর ও সক্ষমতা জামনগর কমপ্লেক্সটি বিশাল পরিসরের যার সম্মিলিত পরিশোধন ক্ষমতা দিনে ১.২৪ মিলিয়ন ব্যারেল-এরও বেশি। এখানে দুটি পরিশোধনাগার রয়েছে, যার মধ্যে একটি বিশ্বের বৃহত্তম। পেট্রো রসায়ন উৎপাদন ক্ষমতাও অনেক বড়, যা একে বৈশ্বিক বাজারের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার করে তুলেছে। 2. সমন্বিত অবকাঠামো এই কমপ্লেক্সটি অত্যন্ত সমন্বিত, অর্থাৎ এখানে বিভিন্ন প্রক্রিয়াগুলি একে অপরের সাথে যুক্ত, যা ক্রুড অয়েল পরিশোধন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেট্রো রসায়ন পণ্যের উৎপাদনে সহায়ক। এই সমন্বয় দক্ষতা বাড়ায় এবং অপচয় কমায়, যা কমপ্লেক্সটিকে প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে। 3. পণ্যসমূহ জামনগর কমপ্লেক্সটি পলিমার, প্লাস্টিক, পলিয…
মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে?<b> মৌলিক সংখ্যা</b> (Prime Number) হল এমন একটি স্বাভাবিক সংখ্যা (natural number) যা কেবলমাত্র দুটি ধনাত্মক গুণনীয়ক (positive divisors) দ্বারা বিভাজ্য হয়— ১ এবং সেই সংখ্যা নিজেই। অর্থাৎ মৌলিক সংখ্যার গুণনীয়ক কেবল ১ এবং ওই সংখ্যা নিজেই হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ— ২, ৩, ৫, ৭, ১১, ১৩ ইত্যাদি মৌলিক সংখ্যা। <i><b> ২ হল ক্ষুদ্রতম এবং একমাত্র জোড় মৌলিক সংখ্যা। </b></i><b> দুই অঙ্কের বৃহত্তম মৌলিক সংখ্যা ৯৭।</b> ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত মৌলিক সংখ্যা (২৫টি) মৌলিক সংখ্যা ১-১০০ ২ ৩ ৫ ৭ ১১ ১৩ ১৭ ১৯ ২৩ ২৯ ৩১ ৩৭ ৪১ ৪৩ ৪৭ ৫৩ ৫৯ ৬১ ৬৭ ৭১ ৭৩ ৭৯ ৮৩ ৮৯ ৯৭ পরস্পর মৌলিক সংখ্যা কাকে বলে?<b> পরস্পর মৌলিক সংখ্যা</b> (Coprime Numbers বা Relatively Prime Numbers) হল এমন দুটি সংখ্যা যা একে অপরকে বিভাজ্য করতে পারে না। অর্থাৎ তাদের গুণফলের সর্বোচ্চ সাধারণ গুণনীয়ক (HCF) বা গুণফলের সর্বোচ্চ সাধারণ গুণক (GCD) হল ১। পরস্পর মৌলিক সংখ্যা উদাহরণ<b> ৭ এবং ২০:</b> ৭ এবং ২০ পরস্পর মৌলিক সংখ্যা কারণ তাদের HCF বা GCD ১। ৭ কে ২০ দ্বারা ভাগ করা যায় না এবং ২০ কে ৭ দ্বারা ভাগ করা যায় না।<b> ১৫ এবং ২৪: </b> ১৫ এবং ২৪ পরস্পর মৌলিক সংখ্যা কারণ তাদের HCF বা GCD ১। ১৫ এবং ২৪ একে অপরের গুণফলে কোনো সাধ…
গমনে অক্ষম প্রাণী বলতে এমন প্রাণীদের বোঝায়, যারা শারীরিক গঠন বা শারীরবৃত্তীয় সীমাবদ্ধতার কারণে নিজেরা চলাচল করতে সক্ষম নয়। এদের মধ্যে কিছু প্রাণী পরিবেশগত কারণে স্থান পরিবর্তন করতে অক্ষম, আবার কিছু প্রাণী চলাচল না করেও পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হয়। গমনে অক্ষম প্রাণী ১. স্পঞ্জ (Sponges)<b> বৈজ্ঞানিক নাম:</b> Porifera<b> গমনের ধরন: </b> স্পঞ্জের কোনো গমন অঙ্গ নেই এবং এরা স্থির থাকে। এরা সারা জীবন একই স্থানে বসবাস করে এবং সেখানেই খাদ্য সংগ্রহ করে। ২. কোরাল (Coral)<b> বৈজ্ঞানিক নাম: </b> Anthozoa<b> গমনের ধরন: </b> কোরালও গমনে অক্ষম এবং সমুদ্রের তলায় বসে থাকে। এরা উপযুক্ত পরিবেশে উপনিবেশ তৈরি করে এবং জীবাণু, আলোকশক্তি, এবং জৈব উপাদান ব্যবহার করে বেঁচে থাকে। ৩. বার্নাকলস (Barnacles)<b> বৈজ্ঞানিক নাম: </b> Cirripedia<b> গমনের ধরন: </b> বার্নাকলস এক ধরনের সামুদ্রিক অমেরুদণ্ডী প্রাণী, যারা সাধারণত পাথর, নৌকা বা অন্যান্য কঠিন পৃষ্ঠে আটকে থাকে এবং সেখান থেকে সরে যায় না। ৪. অ্যাঙ্কর ওর্ম (Anchor Worms)<b> বৈজ্ঞানিক নাম:</b> Lernaea<b> গমনের ধরন:</b> অ্যাঙ্কর ওর্ম পরজীবী প্রাণী হিসেবে মাছের শরীরে আটকে থাকে। এরা গমনে অক্ষম এবং শুধুমাত্র পরজীবী জীবনযাপন ক…
গমন কাকে বলে? গমন বলতে সাধারণভাবে কোনো জীব বা বস্তুর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। জীববিজ্ঞানে, গমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য যা প্রাণীদের তাদের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে, খাদ্য সংগ্রহ করতে, শিকারী থেকে পালাতে, সঙ্গী খুঁজতে এবং বিভিন্ন প্রকারের আচরণ প্রদর্শন করতে সাহায্য করে। গমনের প্রকারভেদ গমন বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যা প্রাণীর গঠন, পরিবেশ এবং প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে। প্রধান গমনের প্রকারভেদগুলো হলো: 1. স্থানান্তর গমন  প্রাণীর নিজস্ব শক্তি ব্যবহার করে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করা। উদাহরণ: হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, উড়া। 2. প্রাণীর অভ্যন্তরীণ গমন শরীরের অভ্যন্তরে অঙ্গ বা পদার্থের স্থানান্তর। উদাহরণ: রক্ত প্রবাহ, খাদ্য পরিপাকনালীর মাধ্যমে চলাচল। 3. বৃদ্ধিজনিত গমন গাছপালা বা স্থির জীবের বৃদ্ধি বা বিকাশের মাধ্যমে স্থানান্তর। উদাহরণ: সূর্যের দিকে গাছের ডালপালার বৃদ্ধি। প্রাণীদের গমনের পদ্ধতি প্রাণীরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে গমন করে, যেমন:<b> হাঁটা ও দৌড়ানো:</b> চারপেয়ে প্রাণী তাদের পা ব্যবহার করে স্থলে চলাচল করে।<b> সাঁতার কাটা: </b> মাছ ও জলজ প্রাণীরা পাখনা বা দে…
ইউগ্লিনা (Euglena) হলো একটি এককোষী শৈবাল, যা উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। ইউগ্লিনার গমন অঙ্গের নাম হলো <b> ফ্ল্যাজেলাম</b> (Flagellum)। এই ফ্ল্যাজেলাম ইউগ্লিনাকে চলাচল করতে সাহায্য করে। ফ্ল্যাজেলাম-এর গঠন ও কার্যপ্রণালী ফ্ল্যাজেলাম হলো এক ধরনের লম্বা, সুতার মতো গঠন, যা ইউগ্লিনার কোষের সামনের দিকে অবস্থিত। ফ্ল্যাজেলামের ভিতরে মাইক্রোটিউবুল (Microtubules) থাকে, যা একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে সাজানো থাকে। এই মাইক্রোটিউবুলগুলি ফ্ল্যাজেলামের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে। ফ্ল্যাজেলামের তরঙ্গায়িত নড়াচড়া ইউগ্লিনাকে জলীয় মাধ্যমের মধ্যে চলাচল করতে সহায়তা করে। ফ্ল্যাজেলাম যখন তরঙ্গের মতো নড়াচড়া করে, তখন ইউগ্লিনা সামনের দিকে অগ্রসর হয়। এই নড়াচড়ার প্যাটার্ন ইউগ্লিনাকে পানিতে নিজেকে পরিচালিত করতে এবং খাদ্যের সন্ধান করতে সহায়তা করে। ইউগ্লিনার চলাচল বা গমন ইউগ্লিনা প্রধানত ফ্ল্যাজেলাম ব্যবহার করে নিজেকে চালিত করে। এটি পেশীর মতো কাজ করে এবং তরঙ্গায়িত নড়াচড়ার মাধ্যমে ইউগ্লিনাকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়। ইউগ্লিনা জলের মধ্যে সহজে চলতে পারে এবং আলোর দিকে বা দূরে সরানোর ক্ষমতা রাখে, যাকে ফোটোট্যাক্সিস…
চিংড়ি (Shrimp) হলো একটি জলজ অমেরুদণ্ডী প্রাণী, যা তার গঠন এবং চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অভিযোজিত। চিংড়ির চলাচলের প্রধান অঙ্গ হলো পায়ের মতো অংশ যা <b> পেরিওপডস</b> (Pereiopods) এবং <b> প্লিউরোপডস</b> (Pleopods) নামে পরিচিত। পেরিওপডস (Pereiopods) এবং প্লিউরোপডস (Pleopods) এর গঠন ও কার্যপ্রণালী<b> পেরিওপডস (Pereiopods): </b> চিংড়ির দেহের থোরাসিক অংশে অবস্থিত এই পেরিওপডসগুলো প্রধানত তার চলাচল বা হাঁটার জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলো চিংড়ির সামনের পায়ের মতো অংশ, যেগুলো ভূমিতে বা সমুদ্রতলের উপর দিয়ে চলাচলের সময় ব্যবহৃত হয়। সাধারণত চিংড়ির প্রতি পাশে পাঁচটি করে পেরিওপডস থাকে, যা তাকে সমুদ্রতল বা অন্যান্য পৃষ্ঠের উপর দিয়ে ধীর গতিতে হাঁটতে সাহায্য করে। <b> প্লিউরোপডস (Pleopods):</b> চিংড়ির দেহের পেটের নিচের অংশে অবস্থিত এই প্লিউরোপডসগুলো প্রধানত সাঁতার কাটার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পা গুলি চিংড়িকে দ্রুত গতিতে চলাচল করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যখন এটি পানির মধ্য দিয়ে সাঁতার কাটে। চিংড়ি যখন তীব্র গতিতে পালাতে চায় বা দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে চায়, তখন এটি তার প্লিউরোপডস ব্যবহার করে পানির মধ্য দিয়ে পিছনের দিকে সাঁতার কাটে। এছা…
তারা মাছ (Starfish) যা সামুদ্রিক নক্ষত্র হিসেবেও পরিচিত। একটি অমেরুদণ্ডী প্রাণী যা সামুদ্রিক পরিবেশে বাস করে। তারা মাছের গঠন এবং চলাচল পদ্ধতি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। তারা মাছের গমন অঙ্গের নাম হলো <b> টিউব পা </b> (Tube Feet) যা এর চলাচল এবং খাদ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহৃত হয়। টিউব পা-এর গঠন ও অবস্থান টিউব পা হলো ক্ষুদ্র, নমনীয় এবং নলাকার অঙ্গ, যা তারা মাছের দেহের নিচের দিকে, প্রতিটি বাহুর ভিতরের অংশে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করে। প্রতিটি টিউব পা-এর শেষে একটি ছোট সক (suction cup) বা চোষক থাকে, যা মসৃণ পৃষ্ঠে আটকে থাকতে সাহায্য করে। তারা মাছের প্রতিটি বাহুর নিচে শত শত টিউব পা থাকে। এই টিউব পা গুলি ওয়াটার ভাসকুলার সিস্টেমের অংশ হিসেবে কাজ করে, যা তাদের চলাচল এবং খাবার সংগ্রহে ব্যবহৃত হয়। টিউব পা-এর মাধ্যমে তারা মাছের চলাচল প্রক্রিয়া তারা মাছের চলাচলের জন্য টিউব পা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পদ্ধতি ওয়াটার ভাসকুলার সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল। এই সিস্টেমে পানি প্রবাহিত হয় এবং টিউব পা গুলোকে স্ফীত ও সংকুচিত করতে সাহায্য করে। টিউব পা-এর শেষে থাকা চোষকগুলো মসৃণ পৃষ্ঠের সাথে দৃঢ়ভাবে আটকে থাকতে পারে। যখন তারা মাছ চলতে চায…
কেঁচো (Earthworm) একটি অমেরুদণ্ডী প্রাণী, যা মাটিতে বসবাস করে এবং মাটির গুণগত মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেঁচোর দেহ দীর্ঘ, নলাকার এবং অনেকগুলি খণ্ড বা সেগমেন্টে বিভক্ত। প্রতিটি খণ্ডের নিচের দিকে কিছু ক্ষুদ্র, কাঁটার মতো গঠন রয়েছে। এটি <b> শ্রেণি বা সিটাই</b> (Setae) নামে পরিচিত। এই সিটাই কেঁচোর গমন অঙ্গ হিসেবে কাজ করে এবং এটি কেঁচোর চলাচল এবং মাটি খননের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিটাই-এর গঠন ও অবস্থান সিটাই ছোট, কাঁটার মতো সূক্ষ্ম প্রক্ষেপণ যা প্রতিটি সেগমেন্টের পেটের অংশে অবস্থিত। এই প্রক্ষেপণগুলি দেখতে ক্ষুদ্র চুলের মতো এবং এগুলি খুবই শক্ত ও মজবুত। কেঁচোর প্রতিটি খণ্ডের পেটের দিকে সিটাই অবস্থিত। প্রতিটি সেগমেন্টে সাধারণত ৮টি সিটাই থাকে যা কেঁচোকে মাটিতে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে সাহায্য করে। সিটাই-এর মাধ্যমে কেঁচোর গমন প্রক্রিয়া কেঁচোর দেহে দুটি প্রধান মাংসপেশী থাকে—লম্বালম্বী মাংসপেশী ও আড়াআড়ি মাংসপেশী। আড়াআড়ি মাংসপেশীর সংকোচনের ফলে কেঁচোর দেহ সঙ্কুচিত হয় এবং সিটাই মাটিতে দৃঢ়ভাবে বসে যায়। এরপর লম্বালম্বী মাংসপেশীর সংকোচন ঘটে যা কেঁচোর দেহকে সামনের দিকে ঠেলে দেয়। কেঁচো যখন সাম…